Home ডঃ উইলিয়াম বোয়েরিক এবিস নাইগ্রা (Abies Nigra)

এবিস নাইগ্রা (Abies Nigra)

by kuntal218@gmail.com
2 minutes read
A+A-
Reset

এবিস নাইগ্রা (Abies Nigra) – সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ

🔹 সাধারণ নাম: Black Spruce (ব্ল্যাক স্প্রুস)
🔹 পরিবার: Pinaceae (পাইন জাতীয় উদ্ভিদ)
🔹 উৎস: এটি ব্ল্যাক স্প্রুস গাছের রজন (Resin) থেকে প্রস্তুত করা হয়।
🔹 মূল ব্যবহার: হজমের সমস্যা, পাকস্থলীর অস্বস্তি, বুক ভারী লাগা এবং স্বপ্নদোষ।


🔸 এবিস নাইগ্রার প্রধান বৈশিষ্ট্য

এটি মূলত হজমজনিত সমস্যা ও পেটের রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়, বিশেষত পাকস্থলীতে ভারী অনুভূতি, বুকজ্বলা এবং বদহজম হলে এটি কার্যকর।

👉 প্রধান রোগ যেখানে এটি কার্যকর:

  • পাকস্থলীতে ভারী অনুভূতি (Indigestion with Heaviness in Stomach)
  • গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও বুকজ্বালা (Acidity, Gas, and Heartburn)
  • বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য (Dyspepsia & Constipation)
  • খাবারের পর বুকে চাপ ও ভারী লাগা (Fullness and Pressure in Chest After Eating)
  • স্বপ্নদোষ ও দুর্বলতা (Nocturnal Emissions & Weakness)

🔸 এবিস নাইগ্রার প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গ (Symptoms & Indications)

✅ পাকস্থলীতে ভারী লাগা ও অ্যাসিডিটি (Gastric Issues & Acidity)

  • রোগী মনে করে যেন তার পাকস্থলীতে একটি বড় পাথর আটকে আছে।
  • সামান্য খাবার খেলেও খুব ভারী লাগে, খাবার হজম হতে সময় লাগে।
  • খাবারের পর বুক ভারী হয়ে যায় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
  • পেটের গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির কারণে বুক জ্বলে।

✅ বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য (Dyspepsia & Constipation)

  • বদহজমজনিত কারণে খুব বেশি ঢেকুর ওঠে।
  • খাবার হজম হয় না, দীর্ঘক্ষণ পাকস্থলী ভারী অনুভূত হয়।
  • সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পেট পরিষ্কার হয় না।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কঠিন মলদ্বার (Hard Stool) এবং শুষ্ক মলত্যাগ হয়।

✅ বুক ভারী লাগা ও শ্বাসকষ্ট (Chest Fullness & Breathlessness)

  • খাবার খাওয়ার পর বুক ভারী ও চেপে বসা অনুভূতি হয়।
  • বুক ধড়ফড় করে এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
  • বুকের মাঝখানে চাপের অনুভূতি হয়, যা হার্টব্লকের মতো মনে হয়।

✅ স্বপ্নদোষ ও শারীরিক দুর্বলতা (Nocturnal Emissions & Weakness)

  • স্বপ্নদোষের সমস্যা, বিশেষ করে যৌন বিষয়ক চিন্তা করলে বা রাতে বেশি খেলে।
  • অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের ফলে দুর্বলতা ও বিষণ্নতা অনুভূত হয়।
  • রোগী খুব ক্লান্ত বোধ করে এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়।

🔸 এবিস নাইগ্রার প্রয়োগ ও মাত্রা (Dosage & Potency)

  • ৩০C ও ২০০C: পাকস্থলীর সমস্যা ও বদহজমের জন্য দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • ১M: দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বুকের ভারী অনুভূতির ক্ষেত্রে কার্যকর।
  • মাদার টিঙ্কচার (Q): কখনো কখনো গ্যাস্ট্রিকের তীব্র সমস্যায় Abies Nigra Q দেওয়া হয়।

👉 বিশেষ নির্দেশনা:

  • এটি Nux Vomica, Carbo Veg, এবং Lycopodium-এর সাথে তুলনা করা হয়।
  • রোগী সাধারণত রাতে বেশি খেলে অসুবিধা অনুভব করে।
  • ঠান্ডা পানীয় ও গরম খাবার খেলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।

🔸 এবিস নাইগ্রা বনাম অনুরূপ ওষুধ – তুলনামূলক বিশ্লেষণ

ওষুধের নাম মূল সমস্যা বিশেষ বৈশিষ্ট্য
Abies Nigra পাকস্থলীতে ভারী অনুভূতি, বুক ভারী লাগা খাবারের পর বুক চেপে বসে, বদহজমে ঢেকুর ওঠে
Nux Vomica গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বদহজম অতিরিক্ত মশলাদার খাবারে সমস্যা হয়
Carbo Veg গ্যাস, পেট ফাঁপা, ঢেকুর বেশি খাবারের পর গ্যাস জমে যায়
Lycopodium কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিক বিকেলের পর সমস্যা বাড়ে, বেশি খেলে গ্যাস হয়

You may also like

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় মেটেরিয়া মেডিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বই, যেখানে বিভিন্ন ওষুধের উৎস, লক্ষণ, প্রভাব এবং প্রয়োগের বিশদ বিবরণ থাকে। এটি মূলত রোগীর লক্ষণ এবং উপসর্গ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে সাহায্য করে।

@2025 – All Right Reserved. Designed and Developed by Dr.Mahesh M

মেটেরিয়া মেডিকার মূল বিষয়বস্তু:

ড. উইলিয়াম বোরিকের “Pocket Manual of Homoeopathic Materia Medica”

ড. কেন্টের “Lectures on Homoeopathic Materia Medica”

ড. হেরিংয়ের “Guiding Symptoms of Our Materia Medica”

মেটেরিয়া মেডিকার মূল বিষয়বস্তু:

  1. ঔষধের উৎস – উদ্ভিদ, প্রাণী বা খনিজ উৎস থেকে ওষুধ তৈরি হয়।
  2. শারীরিক লক্ষণ – রোগীর দেহে কী কী পরিবর্তন দেখা যায়।
  3. মানসিক লক্ষণ – রোগীর মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন বা অনুভূতি কেমন হয়।
  4. ক্রিয়া এবং প্রয়োগ – কোন ওষুধ কোন রোগের জন্য এবং কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
  5. শক্তি (Potency) – ওষুধের ডোজ এবং প্রয়োগের নিয়ম।